পথের আকাঙ্খা
-সত্য দেব পতি
আজো মনে পড়ে সেদিনের সন্ধ্যা,
মনের আকাশে ছড়ানো বিপ্লবের চন্দ্রালোক,
আপন মনে হেঁটেচলা লাল মেঠোপথ,
অদূরে পিচগলা রাস্তায় ঝলমলে বৈদ্যূতিক বাতি,
মেঠো পথের প্রাণপণ চেষ্টা সেই পথে মিশে যাবার।
অনাহুতের মতো সরীসৃপী চালে হেঁটে চলে দুরাশা
হয়তো একদিন আসবে সময়,
বুকের মধ্যে প্রবাহিত উষ্ণ বাতাস জ্বালিয়ে দিচ্ছে সমস্ত আশা,
সেই পথে হেঁটে চলা পথিকের কাছে রেখেছে নির্বাক প্রশ্ন!
শুনতে না চাওয়া উত্তর ছিল একাধিক।
হঠাৎ করে ঈশানী মেঘের বজ্রনিনাদ শুনে ভীতসন্ত্রস্ত মেঠোপথ,
হয়তো বৃষ্টি ভেজা শরীর থেকে সমস্ত মাটি ধুয়ে গিয়ে অস্তিসার হবে নরম মেঠোপথ।
এবড়ো খেবড়ো অমসৃণ দেহ থেকে হারিয়ে যাবে স্বপ্ন দেখা হৃদয়,
দেহের অক্ষমতা বাধ্য করবে হাঁটা!
বুকের নিঃশ্বাসে বাড়বে গভীর তঞ্চকতার অবিশ্বাস ।
সন্ধ্যা নামার আগেই নামলো কালবৈশাখী,
প্রবল বর্ষণে ধুয়ে মুছে দিল পরিপাটি সাজ ,
আর কখনও মিশতে পারবেনা পিচগলা রাস্তায়।
মায়াবী চাঁদের জোছনা ভাঙা ছোপ ছোপ দাগ পথের বুকে…
হৃদয়ের গভীরে নিস্তেজ স্বপ্ন বিলাস ভেঙে গেছে কালবৈশাখীর তান্ডবে।
অসীম মিলন স্পৃহা এখন রাতের নিস্তব্ধতা!!